Breaking News

চরভদ্রাসনে বার্হিগত ছেলেমেয়েদের দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে আনন্দ স্কুলে !

চরভদ্রাসন প্রতিনিধি- ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলায় তিনটি কেন্দ্রে আনন্দ স্কুলের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীদের সমাপনী মডেল টেষ্ট পরিক্ষা-২০১৮ চলছে।কিন্তু এই পরীক্ষা গুলোতে অংশগ্রহন করছে বিভিন্ন সরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রী,উপড় শ্রেনীর এবং যারা আনন্দ স্কুলে পড়েনি বা ভর্তি নয় এমন ছাত্র-ছাত্রী দিয়ে।  গত শনিবার থেকে এই পরীক্ষা শুরু হয়।তিনটি কেন্দ্রগুলো  হল বি.এস ডাংগি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,চরভদ্রাসন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পশ্চিম মৌলভীর চর সরকারি  প্রাথমিক বিদ্যালয়।

 আজ সরেজমিনে বি.এস  ডাংগি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে যেয়ে  দেখা যায়,সেখানে যে যার মত পরীক্ষা দিচ্ছে।এক এক ছোট বেঞ্চে ৪-৫জন বসে লিখছে,শিক্ষিকা উল্টা দিকে বসে কাজ করছে।ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অনেকের বয়স বেশী দেখা যায়।সন্দেহজনক কয়েকজন কে জিগ্যেস করলে জানা যায়,রহিমা,পিতা-আঃ রহমান গ্রাম হাজি ডাংগি, সে বি এস ডাংগি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী,রমজান,পিতা-সহিদ বেপারী,গ্রাম পুরাতন জেলখানা সে আনন্দ স্কুলের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র,জিহাদ.পিতা-তোতা শিকদার ,গ্রাম বালিয়া ডাংগি সে পেশায় রাজ মিস্ত্রি,মজিবর পিতা-শাহাদাত ব্যাপারী গ্রাম বালিয়া ডাংগি সে পড়াশোনা করেনা।মারুফা পিতা-পান্নু খান,গ্রাম বি.এস ডাংগি,বয়স-১৬ সে কোন কথা বরেনি।এদের সকলের কাছ থেকে জানা যায় এরা সকলেই স্যারের কথায় পরীক্ষা দিতে আসছে।
এ ব্যাপারে স্কুরের হল সুপার ও আনন্দ স্কুলের সদস্য সচিব বি.এস ডাংগি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শিরিন সুলতানা জানান,এরা কে কোন স্কুলে পড়ে এটা আমি বলতে পারব না,আমার শুধু পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব,তার স্কুলের ছাত্রী অন্য স্কুলে পরীক্ষা দিচ্ছে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান,আমি বারবার নিষেধ করাার পড়ও ওদের দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ানো হচ্ছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো আশরাফুল হক জানান,চরভদ্রাসন উপজেলায় পর্যাপ্ত পরিমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে।প্রতি ১ কি.মি পরপর একটা াবদ্যালয় অবস্থিত।যার কারনে আনন্দ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী পাওয়া যায় না।এজন্য উপজেলা আনন্দ স্কুলের কর্মকর্তা ও তার উপরস্থ শিক্ষা কর্মকর্তা,উপ সচিব ,সচিব সকলেই বিদেশী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে এই আনন্দ স্কুল চালিয়ে থাকে।এই ব্যাপারটা সবাই জানে।
এ ব্যাপারে আনন্দ স্কুল কর্মকর্তা(টি.এস) শাহিনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে সে জানায়,আগামি মঙলবার থেকে ওরা আর পরীক্ষা দেবে না ।এবং আমি ওদের কেন্দ্র থেকে বেড় করে দিচ্ছি।ঘটনার সথ্যতা যাচাইয়ের জন্য পুনরায় কেন্দ্রে যেয়ে দেখা যায় তাদের বেড় করা হয়নি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি মেম্বার জানায়,ছেলে মেয়েদের বিভিন্ন নাম দিয়ে ও বাইরে থেকে এভাবে ছেলেমেয়েদের দিয়ে পরীক্ষা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কথা উল্লেখ্য করে টিএস ও তার সহকর্মীরা মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করছে।

No comments