কাউলীবেড়া ইউনিয়নের খাট্রা গ্রামের নিক্সন সমর্থক শাহিন মোল্লা বলেন, তাদের বাড়ীর পাশে নির্বাচনী কেন্দ্রে দুপুরের দিকে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার লোকজন নিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট কাটতে আসলে প্রশাসন ও আমরা বাধা প্রদান করি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাড়ীসহ এলাকার ১০/১২টি বাড়ী ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এরমধ্যে আমার বাড়িতে তারা হামলা, ভাংচুর, লুটপাট চালায় ব্যাপকভাবে। হামলাকারীরা বাড়িতে থাকা টাকা-পয়সা, সোনা-গয়না ও মূল্যবান জিনিষ নিয়ে যায়। তিনি বলেন আমার মোটরসাইকেলটি ভাংচুর ও বাড়ীর দুটি টিউবয়েলটি পর্যন্ত তারা উঠিয়ে ফেলে। এছাড়া আমার পরিবারের নাারীদের উপর তারা চড়াও হন।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ শহিদ মিয়া জানান, নির্বাচনের দিন দুপুরের দিক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নৌকার সমর্থকরা আমার বাড়ীসহ আশেপাশের ১০/১২টি বাড়ী ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। তিনি বলেন চেয়ারম্যানের সাথে আমাদের সাথে আগে যে পূর্বশত্রæতা ছিলো সে ঘটনা থেকেই তারা নির্বাচনের দিন মোক্ষম সুযোগ বুঝে হামলা ও লুটপাট চালায় আমাদের উপর।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ভাঙ্গা উপজেলার চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন জানান, নৌকার সমর্থকরা আমাদের নেতাকর্মিদের ৯০টি বাড়ীঘড় ভাংচুর করে। আর এসব ব্যাপারে আমাদের কোন সমর্থক জরিত নয়। তিনি বলেন ভোট কারচুপি করতে গিয়েছিলো নৌকার লোকজন এটা প্রতিহত করায় তাদের নামে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে।
এদিকে গনমাধ্যমে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন তার এলাকায় নৌকার পক্ষ থেকে হামলা করা হয়েছে তার সমর্থকদের উপর। এসব ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে। তদন্তেই প্রমান হবে কারা দোষী।
এ ব্যাপারে কাইলীবেড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাইল হাসনাত দুদুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি সকাল থেকেই ইউনিয়নের ৯টি ভোট কেন্দ্রে গিয়েছি পরিদর্শনে। এটা দেখে অনেকে বলতে পারে যে আমি জরিত। আসলে প্রতিপক্ষের কিছু লোকজন মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে আমার নামে। এটা মোটেও সঠিক নয়। তারাই আরো আমাদের সমর্থকদের বাড়ীঘড়ে হামলা চালিয়েছে। আমি তাদেরকে ডেকে বলেছি কেনো আমার নামে মিথ্যা কথা বলছো। তিনি বলেন তারা এতোদিন যে আমাদের নেতাকর্মিদের বাড়ীঘড়ে হামলা চালিয়েছে সেটা চাপা দিতে তারা এখন দোষ আমাদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছেন নিজেরা এগুলো করে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাইদুর রহমান জানান, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, এপিবিএন, বিজিবি মোতায়েন রাখা হয়েছে যেকোন পরিস্থিতি এড়াতে। আর এসব ঘটনায় উভয় পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে বেশকিছু। আটক করা হয়েছে আজিমনগর ইউনিয়েেনর চেয়ারম্যানসহ প্রায় ২০ জনকে। তিনি বলেন আমাদের চেষ্টার কারনে বড় কোন ঘটনা ঘটাতে পারেনি হামলাকারীরা।
এদিকে এসব ঘটনার সৃষ্ট পরিস্থিতি সরোজমিনে পরিদর্শনে করে গেছেন মানবাধিকার কমিশনের সচিব হিরন্নময় বাড়ৈ। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের ঘাটরা গ্রাম, নাসিরাবাদা ইউনিয়নের ভদ্রকান্দা ও কালামৃধা ইউনিয়নের কালামৃধাসহ বেশ কয়েকটি এলাকা সরোজমিনে পরিদর্শন করেন।
No comments