ফরিদপুরে দেশের সর্বনিম্ম তাপমাত্রায় স্থবিরতা নেমে এসেছে জনজীবনে
ফরিদপুর প্রতিনিধি :
গত কয়েকদিন ধরে ফরিদপুরে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। শীতের কারনে সবচেয়ে বিপদে পড়েছে কর্মজীবি সাধারন মানুষ। ভোরের দিকে শীতের সাথে ঘন কুয়াশার কারনে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে কম। এদিকে সারা দেশের মধ্যে শনিবার ফরিদপুরে সর্বনিম্ম তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে ১০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ফরিদপুরের আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক সুরজুল আমিন জানান, গত কয়েক দিনে তাপমাত্রার মধ্যে শনিবার সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ম ১০.১ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমেছে এ জেলায়। এদিকে, জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা, মধুমতি এবং আড়িয়ালখাঁ নদী পাড়ের মানুষ গুলো শীতের দাপটে হিমসিম খাচ্ছে। গত কয়েক দিনে ফরিদপুর অঞ্চলে শীতের সঙ্গে দেখা দিয়েছে প্রচন্ড ঘন কুয়াশা। সন্ধ্যার পরেই শিশির পড়তে থাকে সর্বত্র। কুয়াশার কারনে জনজীবনে স্থবির হয়ে পড়েছে। সুর্য্য দেখা মিলছে দুপুরের পরে। তবে শনিবার সারাদিনে কোন সূর্য্যর দেখা মেলেনি।
এছাড়া শীত জনিত রোগ নিয়ে ফরিদপুরের হাসপাতাল গুলোতে এখন ভীর জমাচ্ছেন শিশুসহ বয়স্ক রোগিরা।
জামাল, রুবেল, হোসেন জানালেন, শীতে কারনে কয়েকদিন হলে কাজ নেই। এক রকম বসেই দিন পার করছি। এভাবে আরো কয়েক দিন চললে অর্থ কষ্টে থাকতে হবে।
ফরিদপুর জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম জানান, জেলার ৮১টি ইউনিয়ন ও ৬টি পৌরসভায় ৪৬০টি করে সরকারি অনুদান শীতবস্ত্র কম্বল এসেছে। আমরা সেগুলো নয়টি উপজেলাতে বিতরণ শুরু করেছি। এছাড়া জরুরী বরাদ্দ হিসাবে আরো ৯ হাজার ১ শ কম্বল পেয়েছি।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, জেলার চরাঞ্চল গুলোতে অগ্রাধীকার হিসেবে আগে শীতবস্ত্র বিতরন করছি। তিনি জানান, আমাদের পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র রয়েছে, শীতের কারনে কেউ কষ্টে থাকবে না।
No comments